মৃগী রোগ নিয়ন্ত্রনে করনীয়ঃ

Ø নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করবেন।
Ø ডাক্তার বাবুর অনুমতি ছাড়া ওষুধ গ্রহণ এড়িয়ে যাবেন না বা বন্ধ করবেন না।
Ø খেঁচুনি বা মৃগীরোগ শুরুর কারণ খুঁজে বার করুন। খুব সাধারণ কারণগুলি হল
· মদ্যপান,
· অনিদ্রা,
· চাপ,
· উজ্জ্বল আলো জোরে আওয়াজ ইত্যাদি।
Ø খেঁচুনি কবে এবং কখন শুরু হল, এর তীব্রতা কত, কতক্ষণ ধরে হয়েছে এবং তার সাথে খেঁচুনি শুরুর আগে আপনি কি করছিলেন তা বিস্তারিত ভাবে লিখে রাখুন।
Ø খেঁচুনি শুরুর কারণগুলিকে এই ভাবে মোকাবিলা করার চেষ্টা করুন:
· ঘুমানোর জন্য তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।
· শ্বাসের হালকা ব্যায়াম করুন।
· মদ্যপান কম করুন।
Ø যদি খেঁচুনি খুব ঘন ঘন হয় তবে এই কাজগুলি করবেন না যেমন
· গাড়ি চালানো,
· সাঁতার কাটা এবং
· রান্না করা। এইগুলি করার সময় খেঁচুনি হলে তা খুবই ক্ষতিকারক হবে।
Ø বাড়িতে স্মোক ডিটেক্টার লাগান।
Ø বাড়ির আসবাব পত্র গুলির কোণগুলি যেন মসৃণ হয়।
Ø স্নান করার সময় স্নান-ঘরের দরজা বন্ধ করবেন না।
Ø বাথ টাবে স্নান করার বদলে শাওয়ার ব্যবহার করুন। এতে খেঁচুনি শুরু হলে বাথটাবে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
Ø সাঁতার কাটার সময় এমন সঙ্গী সাথে রাখুন যে আপনার খেঁচুনি শুরু হলে আপনাকে উদ্ধার করতে পারবে।
Ø ঘরের বাইরে কোন খেলা ধুলার সময় মাথায় হেলমেট ব্যবহার করুন।

খিঁচুনির সময় প্রাথমিক চিকিৎসাঃ
মনে রাখবেন মৃগী রোগে আক্রান্ত রোগী অসুখ হওয়ার সাথে সাথে নিজে কি করে তা বলতে পারে না,এ সময় তার পাশে যে থাকবেন তিনিই সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী এবং উপকারী। জ্ঞান ফেরার পর রোগীর কিছু সময়ের জন্য মানসিক বিভ্রম দেখা দেয় বিধায় , এ সময় টুকু রোগীর পাশেই থাকুন, তাকে আশ্বস্ত করুন। পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় না আসা পর্যন্ত রোগীকে ছেড়ে যাবেন না।
· বিপদাশংকা রয়েছে এমন জিনিস যেমন আগুন, পানি, ধারালো বস্তু, আসবাবপত্র রোগীর নিকট থেকে সরিয়ে আনুন।
· খিঁচুনী-আক্রান্ত অবস্থায় রোগীকে সরানোর চেষ্টা করবেন না।
· রোগী দাঁড়ানো বা চেয়ারে বসা অবস্থায় খিঁচুনীতে আক্রান্ত হলে তাকে আলতো করে ধরে মেঝেতে শুইয়ে দিন অথবা এমন ব্যবস্থা নিন যাতে রোগী পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত না পায়।
· রোগীর মাথার নিচে বালিশ বা নরম কোন কাপড় বা ফোম- এ জাতীয় কিছু দিন।
· খিঁচুনী বন্ধ করার জন্য রোগীকে চেপে ধরবেন না।
· রোগীর মুখে জোর করে আঙুল বা অন্য কিছু ঢোকানোর চেষ্টা করবেন না।
· রোগীর জিহ্বায় দাঁত দিয়ে কামড় লাগলেও খিঁচুনীরত অবস্থায় তা ছাড়ানোর জন্য জোরাজুরি করা উচিত নয়।
· খিঁচুনী শেষ হলে রোগীকে এক পাশে কাত করে শুইয়ে দিন।
· রোগীর গলায় টাই বাধা থাকলে বা বেল্ট পড়া থাকলে তা খুলে দিন। জামাকাপড় ঢিলে করে দিন। রোগীর আশেপাশে ভীড় জমতে দেবেন না।
· খিঁচুনী যদি ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়, কিংবা রোগীর একবার খিঁচুনীর পর জ্ঞান ফেরার আগেই দ্বিতীয় খিঁচুনী চলে আসে তা হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতাল অথবা অভিজ্ঞ চিকিৎসকে কল করুন।
· খিঁচুনী শেষ হলে রোগীর নাড়ীর স্পন্দন অনুভব করুন, রোগী ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারছে কি না সেদিকে দৃষ্টি রাখুন। শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যাহত হয় এমন কোন কিছু মুখে বা নাকে থাকলে তা সরিয়ে দিন।

Click to Chat
  • Call us: 01717-015031
  • Scroll to Top