- নির্ধারিত সময়ে সঠিক ডোজে সঠিক ওষধ খাওয়ানো।
- স্ট্রোক এ আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী বিছানাগত থাকেন, সুতরাং তাদের পরিচর্যার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
- চোখের যত্নঃ যাদের চোখ বন্ধ করতে অসুবিধা হয়, তাদের ক্ষেত্রে রাত্রে বেলা চোখে এন্টিবায়োটিক মলম ব্যবহার করে চোখের প্যাডের মাধ্যমে চোখ বন্ধ রাখতে হবে।সারাদিনে চোখে আইড্রপ এবং আর্টিফিসিয়াল টিয়ার ব্যবহার করতে হবে।
নাকের নল বা এন জি টিউব এর যত্নঃ অধিকাংশ স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীদের খাবার খাওয়ানোর জন্য নাকে নল দেওয়া থাকে। সেক্ষেত্রে রোগীকে খাবার খাওয়ানোর সময় বসানো অবস্থায় খাওয়াতে হবে। খাওয়ানোর পর ১৫ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট বসিয়ে রাখতে হবে। ২১ দিন পর পর নাকের নল পরিবর্তন করতে হবে। প্রতিবার খাওয়ানোর আগে নাকের নল সঠিক স্থানে আছে কিনা তা বুঝে খাওয়াতে হবে।
১. মুখের ব্যায়ামঃ
► মুখের আক্রান্ত অংশ মাসাজ করুন
► ইংরেজি অক্ষর a, e , i , o , u জোরের সাথে উচ্চারণ করুন
► গাল ফুলানোর প্র্যাকটিসকরুন
►ঠোঁট গোল করে শিষ দিন
► স্ট্র দিয়ে গ্লাসের পানিতে ফুঁ দিন, স্ট্র দিয়ে পানি পান করুন
► জিহ্বা দিয়ে গালে ধাক্কা দিন শেখানো নিয়মে রোগী নিজে অথবা অন্য কারো সহযোগিতায় হাত এবং পায়ের ব্যায়াম করবেন (দৈনিক ৩ বেলা)
২. মাথা ব্যাথা
মাথা ব্যাথা কখন আশংকাজনক হতে পারে?
► যখন ঘুম থেকে উঠার পর প্রচন্ড মাথাব্যাথা হয়।
►যত সময় যেতে থাকে, ব্যাথা কিছুটা কমতে থাকে।
► মাথা ব্যাথার সঙ্গে তার বমি হয় অনেকবার। বেশি বমি করার পর দেখা যায় মাথা ব্যাথা কিছুটা কমে যায়। এবং সঙ্গে যদি কিছু অভিযোগ করে রোগী – যেমন তারা চোখে ঝাপসা দেখছে এবং চোখের দৃষ্টি কমতে থাকে।
► যখন মাথাব্যাথার সঙ্গে খিচুনি হয়।
► কখনো কখনো মাথা ব্যাথার সঙ্গে একটি পাশ অবশ হয়ে যেতে পারে এবং কথা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
· সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে বলতে হবে৷
৩. ঘাড় ব্যাথা
ঘাড় ব্যাথায় করনীয় কি ?
►ঘাড়ে গরম সেঁক দেয়া।
►ব্যাথা নাশক হিসেবে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ সেবন করা।
►দূরে কোথাও যেতে হলে সারভাইকেল কলার পরিধান করা।
এরপর ও ব্যাথা উপশম না হলে আমাদের অতি দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের, বিশেষত একজন নিউরোলজিস্ট বা নিউরোসার্জনের শরনাপন্ন হতে হবে।
কখন ডাক্তার দেখাবেন ?
► ঘরোয়া চিকিৎসায় বেশির ভাগ ঘাড় ব্যাথা কমে যায়। যদি ব্যাথা না কমে কিংবা অবস্থার উন্নতি না হয়, তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
► ঘাড় ব্যাথাটা আঘাতের কারণে হয়, যেমন গাড়ি অ্যাকসিডেন্ট, ড্রাইভিং কিংবা ও পর থেকে পড়ে যাওয়া—তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
► যদি ঘাড় ব্যাথা তীব্র হয়, ব্যাথা না কমে একটা না কয়েক দিন স্থায়ী থাকে, হাতে বা পায়ে ব্যাথা ছড়িয়ে পড়ে, ঘাড় ব্যাথা, সঙ্গে মাথা ব্যাথা, অবশ ভাব, দুর্বলতা কিংবা ঝিনঝিন অনুভূতি থাকে, তাহলে ও দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।