· কোনো দুর্ঘটনায় কিংবা পড়ে গিয়ে কোমর বা মেরুদন্ডে আঘাত পেলে আহত ব্যক্তিকে খুব বেশি নাড়াচাড়া করা উচিত নয়।
· আহত ব্যক্তির ঘারের নিচে একটি তোয়ালে রোল করে রেখে চিত করে স্থীর ভাবে শুইয়ে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
· রোগীকে না নাড়িয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে। যেমনঃ- রক্তপাত বন্ধ করা।
প্রতিরোধেরউপায় কি?
· সীট বেল্ট পরে গাড়ি চালাতে হবে এবং একইসাথে গাড়ির আরোহীদের কেও সীট বেল্ট পড়তে হবে।
· ভারী জিনিস হঠাৎ করে তুলা যাবে না।
· খেলার সময় প্রয়োজনীয় সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।
· পানিতে ঝাঁপ দেয়ার আগে পানির গভীরতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।
· চলাচলের সময় পিচ্ছিল তল পরিহার করতে হবে বা পিচ্ছিল সমতলে সাবধানে চলাচল করতে হবে।
· ছাদে এবং সিঁড়িতে যথেষ্ট উচ্চতার রেলিং ব্যবহার করতে হবে।
· হাড়ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিস থাকলে চিকিৎসা নিন।
কখন চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হবেন ?
ঘাড়ে, কোমড়ে বা পিঠে আঘাত প্রাপ্ত হলে চিকিৎসকের
স্মরনাপন্ন হয়ে আঘাত সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেয়াই উত্তম। তবে শরীরে কোন অংশ বা হাত/পা অবশ অনুভূত হলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্য নেয়া উচিৎ।
যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু হবে, ততই আঘাত পরবর্তী জটিলতা হবার সম্ভাবনা কম হবে।
চিকিৎসা পরবর্তী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া কিরূপ হবে ?
মেরুদন্ডের আঘাতজনিত কারনে চার হাত-পা কিংবা দুই পা দুর্বল কিংবা অবশ হয়ে যেতে পারে। প্রাথমিক ক্ষেত্রে রোগীর জন্য বিশ্রামের পাশাপাশি বিশেষ ধরনের নিউমেটিক বেডের ব্যবস্থা করতে হবে। ঘাড়ের আঘাত জনিত সমস্যায় বিশেষ ধরনের সার্ভাইকাল কলার এবং কোমরের ক্ষেত্রে লাম্বার কোরসেট পরিধান করতে হবে। মাংস পেশির শক্তির ধরন অনুযায়ী দৈনিক ৩ বেলা ফিজিওথেরাপিস্ট এর তত্ত্বাবধানে ব্যায়াম করতে হবে।